Wednesday, August 21, 2019

বাড়িওয়ালার ছেলের সাথে প্রেম ( ১৪তম পর্ব)

ফারহান আমার পাশে হাঁটতে থাকে।

আকাশে মাঝে মাঝে বিদুৎ চমকাচ্ছে আর বিকট আওয়াজ হচ্ছে। মনের ভেতর তখন হঠাৎ ভয় হয়। এই বুঝি আকাশটা আমার মাথার উপরে ভেংগে পড়লো।

রাস্তা একদম ফাঁকা। এমনিতে বৃষ্টির দিনে, কোন গাড়িওয়ালা গাড়ি চালায় না। বৃষ্টিতে কে বা যাবে কোথায় । তার উপর রাত প্রায় অনেক। সব মিলিয়ে সুনসান নিরবতা। শুধু মেঘের গর্জন আর বৃষ্টির শব্দ আর আমাদের হাঁটার শব্দ ছাড়া কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না।

বাসার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি। তখন বুঝতে পাড়লাম আমার সাথে কেউ নেই। আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। তখন মনে হচ্ছিল আমি একা একা হাঁটতেছি এই বৃষ্টি শহরে,,,?
পিছন গিরে তাকিয়ে দেখি ফারহান তার শার্ট খুঁলে ফেলেছে। সুন্দর চেহারা ফারহানের। একদম ফর্সা গা। স্যান্ডেল গ্যান্জির ভেতর থেকে ফর্সা গা ফুঁটে উঠেছে। কেমন জানি মনের ভেতর আকর্শন করছে ফারহানের দিকে। ফারহানের বেপারটা বুঝতে পারলাম না। আমি একটু ভয় আর সাহস নিয়ে ফারহানের কাছে এগিয়ে গেলাম।

কাছে গিয়ে অবাক হোলাম,,! তিনটা বিড়ালের বাঁচ্চা সহ মা গাছের নিচে বসে আছে। মনে হচ্ছে বাঁচ্চাগুলির ঠান্ডা লাগছে। আমি ফারহানের কাছে দাঁড়াতে বিড়াল একটু ভয় পেয়ে যায়। তখন ফারহান বলে উঠলো,
---কি রে টুসি ভয় পেয়ে গেলি,,। উনি আমার বন্ধু হয়। তোকে কিচ্ছু করবেনা।

আমি ফারহানের মুখে বন্ধু কথাটা শুনে একটু অন্যরকম ভালো লাগা সৃষ্টি হলো।
ফারহানের কথাটা বোধহয় বিড়াল ঠিকমতন বুঝতে পারে নাই। তাই হয়তো বিড়ালটি তার বাঁচ্চাদের হাত দিয়ে (সামনের দুপা → বিড়ালের দুটি হাত) কাছে টেনে নিল। আর ফারহানের কথা কেমন করে বুঝবে,,,! আমরা তো মানুষ আর ওরা প্রাণী।
---ও বোধহয় তোমার কথা শুনে ভয় পেয়েগেছে।
---না।
---তাহলে যে ওর বাঁচ্চাদের সেভ রাখার চেষ্টা করছে।
---আসলে তুমি যেটা ভাবছো সেটা না। টুসি সহ বাঁচ্চাদের ঠান্ডা লাগছে। তাই ও সবাইকে কাছে টেনে শরীর গরম করার চেষ্টা করছে। যাতে ওর বাঁচ্চারা ঠান্ডায় কোন কষ্ট না পাক।
---তুমি কি করে বুঝলে।
---আমি বুঝতে পারি। ওদের সব কিছুই বুঝতে পারি। তাই এখনও বুঝতে পাড়লাম ওদের ঠান্ডা লাগছে।
---ও,,, তোমার ঠান্ডা লাগছেনা।
---ওহ্! আমি শার্ট খুলেছি ওদের দেওয়ার জন্য। আর আমি তোমার সাথে কথা বলে ভুলে গিয়েছিলাম।
.
ফারহান শার্টটা চিঁপে (শার্টের পানি বের করে) টুসি সহ ওদের বাঁচ্চাদের শার্টটা সুন্দর করে পেঁছিয়ে গাছের গোড়াতে সুন্দর করে রেখে দিল।
---এখানে আর বৃষ্টির পানি লাগবেনা। বুঝলি টুসি।
.
আমি অদ্ভুত হয়ে গেলাম। বিড়ালটি ফারহানের কথা বুঝতে পেরেছে। কারণ, ফারহানের দিকে বিড়ালটি হাত দিয়ে ডাকছে।
---কি রে আমাকে যেতে দিবি না।
.
বিড়ালটি মাথা নাড়ালো। আমি আরও অবাক হয়ে গেলাম। কি করে বুঝলো ফারহান বিড়ালটির কথা।
---কি হলো। বল টুসি।
.
বিড়ালটি এবার সামনের দুহাত দিয়ে ফারহানের হাতের খাঁমছি দিচ্ছে।
---আমি থেকে যাব তোদের সাথে।
.
বিড়ালটি নিরব হয়ে গেলো কথাটা শুনে। ফারহান তখন বলে উঠলো,
---দেখ টুসি। আমার বন্ধু শীতে কাঁপছে। অনেক্ষন বৃষ্টিতে ভিজেছি। আরও ভিজলে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি কাশি বেঁধে যাবে তো। সে অনেক ভালো স্টুডেন্ট। পড়াশোনা ক্ষতি হবে। বল এখন কি করবো আমি। যাব, নাকি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তোর সাথে গল্প করবো।
.
ফারহানের কথাটা বুঝতে পেরে বিড়ালটি পা নামিয়ে ভেঁজা শার্টের ভেতর ঢুকে পড়লো।
ফারহান তখন বলে উঠলো,
---টুসি কাল দেখা হবে কেমন। আমি এখন যাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
.
ফারহান বিদায় নিয়ে তবুও উঠছেনা বিড়ালটির কাছে থেকে।
---কি হলো বসে রইলে যে।
---তোমার কি খুব ঠান্ডা লেগেছে।
---না।
.
ফারহান মিষ্টি হাসি দিল আমার কথাটা শুনে।
---হাসছো কেনো,,?
---তোমার ঠান্ডা লেগেছে তবুও বলছো ঠান্ডা লাগে নি।
---আমিতো সত্য বললাম।
---তোমার ঠোঁটতো কেঁপে যাচ্ছে। তুমি বোধহয় বৃষ্টিতে বেশিক্ষণ ভেঁজনি।
.
আমি আর কিচ্ছু বললাম না। আমি ফারহানের সাথে থেকে ঠান্ডা ভুলে গেছি। এমন কি সব ভুলে গেছি।
---টুসি কি হলো বিদায় দে।
.
টুসি একটু নড়ে উঠলো।
---টুসি,! আল্লাহ হাফেজ।
.
---চলো,,
---একটা কথা বলতে পারি,,,?
.
ফারহান একটু অবাক হয়ে নিশাতের দিকে তাকালো।
---অবশ্যই বল,,।
---প্রথম যখন আল্লাহ হাফেজ বললেন। তখন উঠলেন না। কিন্তু, দ্বিতীয় বার কথা বললে তখন নড়ে উঠলো। তখন আল্লাহ হাফেজ বললে।
---শোন, প্রথম আমাকে বিদায় দেই নি। ও চাইছে ওর কাছে থাকি আর গল্প করি। পরে যখন বললাম। তখন একটু নড়ে উঠে বললো আল্লাহ হাফেজ ।
---আচ্ছা, যদি এমনি নড়ে উঠে।
---না নিশাত। টুসি তখন আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য নড়েচড়ে উঠে। যাতে আমি বুঝতে পারি।
.
আমি আর কিচ্ছু বললাম না। শুধু তাকিয়ে দেখলাম। আসলে ছেলেটা খুব ভালো।
আহ্,,,রাস্তার একটু ভাংগা থাকাতে নিশাত পড়ে যেতে ফারহান হাতটা ধরে ফেললো ।
---এভাবে না তাকিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে যাও,,।
.
আমি ফারহানের কথাটা শুনে ভিষণ লজ্জা পেলাম। সে কেমন করে বুঝতে পাড়লো,,? হয়তো সেও আমাকে দেখতেছিল।
---কি হলো এভাবে তাকিয়ে থাকবে। নাকি হাতটা ছেড়ে দেব।
.
আমি স্বাভাবিক হোলাম।
আমি একটু বেশি লজ্জা পেয়েগেছি এখন।
কি অদ্ভুত ছেলেটা। কত লাজুক,,! কত দুষ্ট,,! কত রাগি,,,! কত ভালোবাসা,,,! কত মায়া চোখে, মুখে,,! সব মিলিয়ে পারফেক্ট ছেলে,,,,

.
একটু পর বাসায় এসে পরলাম।
সিঁড়ি দিয়ে উঠে পরলাম।
---ধন্যবাদ,,,
---ধন্যবাদ কেনো নিশাত,,,?
---সুন্দর মোমেন্টে আমার সাথে ভেজার জন্য। ও,,,
---ও কি,,
---সব কিছুর জন্য আবারও ধন্যবাদ,,,
.
কথাটা বলে উপরে উঠে আসতে লাগলাম।
ফারহানের মাথাটা তুলে ভেজা চোখে ওর সেই অদ্ভুত হাসিটা আবার হাসল। আমি আবারো অসাড় হয়ে গেলাম। ভালবাসা কি সবাইকেই এমন অসাড় করে দেয়..................????!!!
.
.
ফারহান বাসায় এসে ঔষুধ আম্মুকে দিয়ে তার কোন কথা না শুনে রুমে চলে গেলো।
রুমে এসে ফারহান ড্রেসটা চেন্জ করে। বিছানায় শুয়ে কাঁদতে কাঁদতে পুরনো দিন গুলোর কথা মনে পরে গেল তার ।
মিষ্টি ভার্সিটি থেকে কখন আসবে সে অপেক্ষায় থাকত। সে কখনো বের হত । একসাথে এইখানে ওইখানে বেড়াতে যাওয়া খুন বড্ড মনে পরছে ফারহানের ।
মিষ্টির সাথে যেদিন প্রথম রিক্সা করে এসেছিল। সেদিন রাতে ছাদে একসাথে বসে ছিল দুজনে ।
মিষ্টি আর ফারহান ছাঁদে বসে ছিল একটু দূর করে পাছে খালা এসে পরেন এই ভেবে, ফারহানের কাছে চাঁদের আলোয় মিষ্টিকে যেন কোন মায়াময় মায়াবতীর মত লাগছিল যাকে সে হাজার বছর ধরে খুজেছিল। তাকে পেয়ে গেছে বাকী জীবনটা পারি দেওয়ার জন্য। এসব কথা মনে পড়তে ফারহান তখন মৃধু হেসে উঠে। ফারহানের হাসিটা মিষ্টির চোখ এড়ালো না। তখন ফারহানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
---ফারহান! তোমার হাসিটা খুব মায়াবি...।
.
মিষ্টির কথা শুনে ফারহান ভ্রুঁটা কিছুটা উুঁচু করে তাকালো মিষ্টির দিকে। কিহ্ মায়াবী দুচোখ,,! মুখটা মায়াবতী,,,!
---এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো,,?
---তোমাকে,,?
---আমি কি দেখতে খুব সুন্দর,,,!
---হুমমম! তুমি দেখতে অসম্ভব সুন্দরী। মায়াবী মুখ,,! দুচোখের মাঝে বিশাল মায়াজালের ফাঁদ,,,!আর এই পুর্ণিমা রাতের মাঝে মনে হচ্ছে, কোন এক চাঁদের পরী আমার সামনে এসে বসে আছে।
.
ফারহানের মুখে এই কথাগুলি শুনে মিষ্টি লজ্জায় লাল হয়ে যায়। মাথাটা নিঁচু করে বসে থাকে। মাথা তুললে ফারহান আরও লজ্জায় ফেলতে পারে।
---কি হলো,,। খুব লজ্জা পেলে নাকি,,?
---আমি বলতে পারবোনা।
---তাই,,,!
---হুমম।
---একটু হাতটা দিবে,,,?
---হাতটা স্পর্শ করা ঠিক না বিয়ের আগে।
---আচ্ছা ঠিক আছে ধরবো না। হাতটা না হয় বাসর রাতে ধরবো। কেমন!
.
মিষ্টি ফারহানের মুখে এই কথাটায় আরও বেশি লজ্জিত হয়ে যায়। ছেলেটা আমাকে লজ্জায় মেরে ফেলবে ।
ফারহান বুঝতে পারে মিষ্টি অনেক, অনেক লজ্জা পেয়েছে। তাই কিছু বললো না।
.
এসব কথা মনে পড়তে ফারহান অঝরে কাঁদতে লাগলেন। কেনো এমন হলো,,? কি করেছিলাম আমি,,? আমি কি তাকে খুব বেশি অপরাধ করেছিলাম,,? জানি না কতবড় অপরাধ করেছিলাম,,! আমি তো তাকে কোন স্পর্শ করি নাই। কেনো বিশ্বাস করতে পারলো না মিষ্টি। হয়তো আমার ভুল ছিল। মিষ্টি আমি এখনও তোমাকে ভালোবাসি,,। খুব ভালোবাসি,, খুব,,,,,
.
ফারহান কাঁদতে কাঁদতে বালিশের কাভার ভিজিয়ে ফেলেছে। চোখটা মুঁছে ফেলে দরজার টোকার শব্দ শুনে। স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে ফারহান।
চৈতী বুঝতে পারে ভাইয়া কেঁদেছে খুব। হয়তো পুরানো স্মৃতি মনে পরে আজ কেঁদেছে। কে বা কাঁদবে না,,! যেকোন মানুষ হোক না কেনো, যদি সত্যি কারে, কাউকে ভালোবাসে সে নিশ্চয় কাঁদবে।
---ভাইয়া তোর কি মাথা ব্যথা করছে,,,?
---না রে,,,।
---ভাইয়া তোর চোখটা লাল হয়েগেছে তো। অনেক বেশি ভিজেছিস,,।
---হুমম।
---আচ্ছা, ভাত খেতে আয়।
---খেতে ইচ্ছে করছেনা রে। তোরা খেয়ে নি।
---আম্মু কি তোকে ছাড়া খাবে বল,,!
---আমার ভালো লাগছেনা।
---অল্প খেয়ে চলে আসিস। চল ভাইয়া,,
.
চৈতী ফারহানকে টেবিলে নিয়ে যায়। চৈতীর চোখটা বালিশের কভার ভেজা এড়ায় নি। কি করবে। বলে কি এই কাঁন্না বন্ধ হবে। না,, কখনও না। হয়তো কোন মেয়ের ভালোবাসা, ভাইয়াকে বন্ধ করে দিতে পারে। তাই তো একটু চেষ্টা করছে।
.
.
নিশাত খাবার খেয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে। বিছানায় ধপ করে পরে যায় কদম ফুল নিয়ে । ছেলেটা খুব মায়াবী,,! কত যে ভালোবাসতে পারে সেটা দেখে বুঝতে পেরেছে।
আজকের বৃষ্টিরাতের কথা কখনও ভুলতে পাড়বো না! কত মায়াবী ঠোঁট,,! বৃষ্টিতে বেজার সময়, ফারহানের গোলাপি কালার ধারণ করেছিল দুখানা ঠোঁট ।
ইস যদি একটু ছুঁয়ে দিত আমায়। না, না এসব কি ভাবছি আমি,,! দূর এসব বিয়ের আগে ব্যবিচারিনিদের কাজ। এসব করা যাবে না।
কিন্তু, যখন কদম ফুলটা দিল, তখন ফারহানের হাতের স্পর্শ পেয়ে শরীর শিওরে উঠে।
এসব ভাবতে ভাবতে নিশাত একদম পাগল হয়ে যাচ্ছে।
ফোনটা বেজে উঠলো টং,টং করে।
এই স্বপ্নের ক্যানভাসের মাঝে কে ডিস্টার্ব করছে ফোন দিয়ে। নিশাত ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে। ২৬ টা কল,,,! ৮ টা ম্যাসেজ,,,! Oh My God,,,!
---হ্যালো,,,
---কি রে ফোন রেখে কোথায় ছিলি,,,? কতবার ফোন দিয়েছি দেখছিস,,! তোদের না সময় মত ফোনে পাওয়া যায় না। কি করিস ফোন রেখে আল্লাহ তায়ালা জানে।
.
একবারে কথাগুলি বলে ফেললো টুম্পা,,,। নিশাত বিরক্তি হলে কিচ্ছু বললো না। এই সুন্দর মোমেন্ট (Moment) এর সময় মাথা গরম করে মনটা নষ্ট করার দরকার নেই। মনে মনে বলে নিশাত বলে উঠলো,
---আর বলিস না। ফোন রেখে ফার্মেসির দোকানে গিয়েছিলাম। ফার্মেসির দোকানে যাওয়ার সেই যে বৃষ্টি নামলো। আর ১ ঘন্টার মধ্যে ছাড়ার কোন নাম গন্ধ নেই। পরে ভিজে ভিজে বাসায় এসে। ড্রেস চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুমাতে যাচ্ছি আর তুই ফোন দিলি।
---আহারে বেঁচারী। কত না কষ্ট করেছিস,,।
---বাদ দে ওসব কথা। কি বলবি বল। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
---আমার কথাটা শোনার পর ঘুমটা ছেড়ে যাবে দোস্ত।
---মানে,,,?
---কালকে যে এক্সাম আছে সেটার খেয়াল আছে,,,!
---Oh No...আমার মনে ছিলনা। দোস্ত কি কি নোট আছে আমাকে দে তাড়াতাড়ি। প্লিজ,,!
---আহারে,,। আমার দোস্ত। কয়দিন ধরে ক্লাস করছিস না সেটার খেয়াল আছে।
---আর বলিস না। বাসায় এতো পরিমাণ কাজ যে, আম্মু একা সামলাতে পাড়ছেনা। তাই বাসার কাজ করছি দোস্ত।
---ওহ্ আমার কাজের মেয়েরে। তুই করবি কাজ,,! সেটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। হাহাহাহা,,,!
---হ্যাঁ,,! আর এতে হাসার কি আছে,,? আর তোর কেনো কনফিউশন আছে,,,?
---উমমম কনফিউশন তো আছে বটে ম্যাডাম,,।
---বল কি কনফিউশন,,?
---যে মেয়ে কফি পর্যন্ত বানিয়ে খেতে চাই না। সে কিনা কাজ করছে,,,হে,,,
---আচ্ছা বাদ দে তো। স্যার কি কি নোট দিছে দে তাড়াতাড়ি,,,
---ওহ্,! এখন পড়াশোনা নিয়ে খুব ই দেখাচ্ছিস। মনে হচ্ছে ফুল মার্ক তুই পাবি।
---দুর মার্ক টার্ক পরে দেখা যাবে। আগে বল,,,
---আগে তুই বল, তোর হ্যান্ডস্যাম ছেলেটা কি তোর প্রেমে পড়েছে।
---বাজি কথা বাদ দে তো। যা বলছি তাই বল,,। কি কি নোট দিছে সব দে।
---আচ্ছা তুই খাতায় লেখ,,,
---ওয়েট,, ১ মিনিট। খাতা এনে নেই,,,
---ওকে,,,
---আচ্ছা বল এখন,,,
টুম্পা বলছে আর নিশাত লিখছে।
.
.
.
চলবে,,,,

No comments:

Post a Comment